কারবালার নিরব গাদ্দারঃ শিয়া...
কারবালার নির্মম ঘটনায় আমরা ক্ষমতাপাগল ইয়াযিদের গভর্নর ও তার সেনাদের নিষ্ঠুর আক্রমণের কথাই জানি, কিন্তু শিয়াদের নিরব প্রতারণা ধামাচাপা পরে থাকে তাজিয়াপূজা ও চাপাবাজির উৎসবে।
আসুন, ইসলামের ইতিহাসের রেফারেন্সে সেই ঘটনা ও ফাঁকে ফাঁকে শিয়া ধর্মগ্রন্থ থেকে গাদ্দারির স্বীকারোক্তি, শিয়াদের প্রতি আহলে বাইতের অভিশাপ দেখে নেই।
বিভিন্ন অঞ্চল এর গভর্নরগণ ইয়াযিদকে বাইয়্যাত দেন। ইয়াযিদ মদিনার গভর্নর ওয়ালিদ বিন উতবাকে চিঠি লিখে পাঠায় যে, আব্দুল্লাহ ইবন উমর(রা) ও আব্দুল্লাহ ইবন যুবায়র(রা)কে যেন কঠিন চাপ প্রয়োগে বাইয়্যাতে বাধ্য করা হয়। ইবন উমর(রা) ও ইবন আব্বাস(রা) তখন ছিলেন মক্কায়। মদিনায় অবস্থানকারী হুসাইন(রা) ও ইবন যুবায়র(রা)কে গভর্নর ওয়ালিদ ডেকে পাঠালে তাঁরা এরকম গোপনে বাইয়্যাত করতে অস্বীকৃতি জানান এবং বলেন যে, পরে যদি জনতার সমাবেশের সময় বিবেচনা করবেন। ওয়ালিদ ইবন উমর(রা)এর কাছে দূত পাঠালে তিনিও বলে দেন- সবাই বাইয়্যাত করলে পরে আমি করব।
বাইয়্যাতের কথা কাটিয়ে কাটিয়ে একসময় আব্দুল্লাহ ইবন যুবায়র(রা) চুপচাপ মক্কার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গেলেন।ইয়াযিদের লোকেরা ইবন যুবায়র(রা)এর পিছে লেগে থেকেই ব্যস্ত থাকল। ওদিকে কিছুদিন পরে হুসাইন(রা)ও পরিবার-পরিজন নিয়ে বেরিয়ে পরেন; তাঁর ভাই মুহাম্মদ ইবন হানাফিয়া(র) তাঁকে আল্লাহর কসম দিয়ে বলেন যে,হুসাইন(রা) যেন নিরাপদে কোন মরু/পর্বত এলাকায় থেকে বাইয়্যাতের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন আর কোন শহরে থাকতে হলে যেন কেবল মক্কায়ই থাকেন।
মক্কার উদ্দেশ্যে যাত্রাপথে হুসাইন(রা) ও আব্দুল্লাহ ইবন যুবায়র(রা) মিলিত হন। তাঁরা দুইজন আবার মক্কা থেকে মদিনার উদ্দেশ্যে যাত্রাকারী ইবন উমর(রা) ও ইবন আব্বাস(রা)এর সাক্ষাৎ লাভ করেন। উনারা হুসাইন(রা) ও ইবন যুবায়র(রা)কে বিভেদ সৃষ্টি না করার পরামর্শ দিলেন; মদিনায় এসে যখন দেখলেন সবাই বাইয়্যাত দিয়েছে তখন ইবন উমর(রা)ও ইবন আব্বাস(রা)ও পরিস্থিতির বিচারে ইয়াযিদের বাইয়্যাত দেন। ঐদিকে হুসাইন(রা) ও ইবন যুবায়র(রা) মক্কায় পৌঁছে গভর্নর সাইদ বিন আমরকে বলেন, আমরা কাবার আশ্রয়ে এসেছি। ইয়াযিদের গভর্নরদের কূটকৌশল,চাপ,বাহিনী প্রেরণ মূলত আব্দুল্লাহ ইবন যুবায়র(রা)এর বিরুদ্ধেই চলতে থাকে-যাকে তারা প্রধান বিদ্রোহী হিসেবে গণ্য করছিল।
মক্কায় পৌঁছার পরে হুসাইন(রা)এর কাছে খিলাফতের প্রস্তাব দিয়ে ইরাকের কুফা শহর থেকে শিয়াদের শত-হাজার চিঠি আসতে থাকে।
হুসাইন(রা)কে চিঠি লিখে বাইয়্যাত দিয়ে ডেকে বেইমানি করা শিয়া দাবিকারীরা। এ ব্যাপারে শিয়া যাজক সাইয়্যেদ মুহসিন আল আমিন এর উল্লেখ-
“অতপর ইরাকবাসীদের থেকে ২০ হাজার লোক হুসাইন এর প্রতি বাইয়্যাত দিল(আনুগত্য করল)।এরপরে তারা বাইয়্যাত সত্ত্বেও তাঁর সাথে গাদ্দারি করল ও তাঁর বিরুদ্ধে বের হল(লড়তে) ও তাঁকে হত্যা করল।” [আ’ইয়ান আশ-শিয়া,পৃষ্ঠা ২৬(খণ্ড ১)]
শিয়ারা হুসাইন(রা)কে অনুরোধ করল যে, তারা হুসাইন(রা)কে বাইয়্যাতদেবার অপেক্ষায় আছে, তাদের কাছে যেন হুসাইন(রা)এর চাচাতো ভাই মুসলিম ইবন আকিল(র)কে পাঠানো হয়। হুসাইন(রা) তাঁর ভাই মুসলিম বিন আকিলকে কুফায় পাঠালেন এবং বললেন যে, সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি বাইয়্যাতের অনুকূল দেখলে যেন পত্র দেন, সেই পত্র দেখে হুসাইন(রা) সপরিবারে কুফায় রওয়ানা দিবেন।
কুফায় মুসলিম বিন আকিল পৌঁছলে হুসাইন(রা)কে জানমাল দিয়ে সাহায্য করবে এইমর্মে প্রায় ১৮ হাজারের বেশি শিয়া বাইয়্যাত করল। এই খবর কুফার গভর্নর নুমান বিন বশির(রা)এর কাছে পৌঁছলে তিনি লোকেদের উদ্দেশ্যে ফিতনা,বিশৃংখলা পরিহার করার উপদেশ দিয়ে গেলেন। নুমান(রা) নরমপন্থী বুঝে ইয়যিদ তার পরামর্শকের কথায় উবায়দুল্লাহ বিন যিয়াদকে নুমান(রা)এর স্থানে কুফার গভর্নর করে পাঠাল। উবায়দুল্লাহকে প্রতিরোধে মুসলিম বিন আকিলের পাশে প্রায় ৪-৫ হাজার শিয়াদের বাহিনী দাঁড়িয়ে যায়, কিন্তু গভর্নর উবায়দুল্লাহ প্রাসাদে পিছু হটে, অন্য আমিরদের দিয়ে শামের বাহিনীর ভয়ভীতি,অর্থলোভ ইত্যাদি দেখানে শিয়ারা একে একে মুসলিম বিন আকিলকে ছেড়ে চলে যায়। এভাবে দিন গড়িয়ে মাগরিবের সময়ে গিয়ে কেউই থাকল না, তিনি আশ্রয়ের আশায় এখানে-সেখান ঘুরতে ঘুরতে বন্দী হন এবং তাঁকে হত্যা করা হয়।
হুসাইন তাবরিসি এর কিতাবে হুসাইন(রা)এর বক্তব্যে লেখাঃ
“ এরপরে আমার কাছে মুসলিম ইবনে আকীল,হানী বিন উরওয়া ও আবদুল্লাহ বিন ইয়াক্তার এর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নিশ্চিত খবর পৌঁছেছে, এবং নিশ্চিতভাবে আমাদের শিয়ারাই(দল) আমাদের সাথে বেঈমানি করল..” [আ’লাম আল অয়ারি বিআ’লাম আলহাদি, ২৩৭ পৃষ্ঠা]
এর আগে ইবনে আব্বাস(রা),ইবন উমর(রা) ও ইবন যুবায়র(রা)-তাঁরা হুসাইন(রা)কে কুফার উদ্দেশ্যে রওয়ানা থেকে নানাভাবে বিরত রাখতে চেয়েছেন, শিয়ারা হুসাইন(রা) এর পিতাকে হত্যা করেছে,ভাই হাসান(রা)কে অপবাদ দিয়েছে,ইরাকিরা প্রতারক স্বভাবের এসব স্মরণ করিয়ে দেন, তা সত্ত্বেও ইরাক থেকে আসা শিয়াদের ওয়াদাপূর্ণ চিঠি দেখে তিনি কুফার দিকে যাত্রা করেন। অনেকটা শাহাদাত নিশ্চিত জেনেই তিনি যাত্রা অব্যাহত রাখেন। যারুদ নামক স্থানে পৌঁছে কুফায় তাঁর প্রেরির দূতের হত্যার খবর পৌঁছার পরে মর্মাহত হন,এরপরেও তিনি তাকদিরের ফয়সালার দিকে ধাবিত হন। তাঁর তাবুতে এক ব্যক্তি ক্রন্দনরত অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করতে দেখলে তিনি শিয়াদের চিঠিপত্র দেখিয়ে বলেন- “এগুলা আমার কাছে প্রেরিত কুফাবাসীর পত্র,কিন্তু আমার ধারণা তারাই আমার ঘাতক হবে” বাস্তবে হয়েছিলও তাই।
“আবু সুফিয়ানের দল শুরু থেকে কীভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করল? এরপরে মুসলমানদের কি হল! বরং হুসাইন(আ)এর দলই(শিয়ারা) অতপর তাঁকে হত্যা করল” [মালহামাত আল হুসাইনিয়্যাত পৃষ্ঠা ৬, খণ্ড ৩]
ইতিহাসের জঘন্যতম প্রতারণাকারী শিয়ারা আশুরার দিনে মাতম করে নিজেরাই নিজেদের লাঞ্ছিত করে। আল্লাহ্ এই কাফেরদের ধবংস করুন!
ইয়াযিদের গভর্নর উবায়দুল্লাহ ইবন যিয়াদ এর বাহিনীও কারবালার প্রান্তরে পৌঁছে যায় এবং উবায়দুল্লাহ ইবন যিয়াদের নির্দেশমত চূড়ান্ত কঠোরতা অবলম্বন করে, হুসাইন(রা)এর কে কোনপ্রকার আপোষ-মতবিনিময়ের সুযোগ না দিয়ে ইবনে যিয়াদের কাছে নতি স্বীকার করিয়ে বন্দি করতে চায়। হুসাইন(রা)ও নতি স্বীকার না করে যুদ্ধ চালিয়ে যান এবং শাহাদাত বরণ করেন। তাঁর সঙ্গী বেশিরভাগ সদস্যই শহীদ হন এবং বাকিদেরকে বন্দী করে ইয়াযিদের রক্ষণাবেক্ষণে পাঠানো হয়। ইয়াযিদ হুসাইন(রা)কে হত্যা করায় ইবনে যিয়াদের উপরে ক্ষুদ্ধ হয় এবং আফসোস করলেও সে ইবনে যিয়াদের বিরুদ্ধে কোণ প্রকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থাই নেয়নি! বরং সে নিজের শাসনক্ষমতা রক্ষায় যেকোন কিছু বৈধ এরূপ ধারণা রাখত। আমরা মুসলমানরা ইয়াযিদকে ঘৃণার চোখে দেখি , তবে কাফির বলা বা অভিশাপ দেয়া এড়িয়ে চলি। ইয়াযিদের কন্সটানটিনোপল বিজয়ের মাগফিরাতপ্রাপ্ত বাহিনীতে থাকার ব্যাপারে বলে থাকেন যে,ইয়াযিদ ক্ষমা পেতে পারে, যদিও সেটী চরম বিতর্কিত। আল্লাহ্ ভাল জানেন। এই ঘটনার অল্পদিনের মধ্যেই বানরের কামড়ে জালিম ইয়াযিদের মৃত্যু হয়।
বিখ্যাত শিয়া-ধর্মযাজক আব্বাস কুম্মি এর লেখা সাফিনাতুল বিহার গ্রন্থের ৪৯২ পৃষ্ঠায়(৪থ খণ্ড) লেখা- “শিম্মার ইবনে যুলজওশান(লা.আ.) সিফফিন যুদ্ধে আলী(রা) এর বাহিনীতে ছিল”
অর্থাৎ নিজেকে আলীর দল(শিয়া) দাবিকারী বাহিনীর একজন পরবর্তীতে হুসাইন(রা) কে হত্যা করে, যেমনটা হয়েছিল কুফাবাসী আরো বহু শিয়ার ক্ষেত্রে, শিম্মার এক উদাহরণমাত্র! লাখো লা’নত শিম্মার ও শিয়া-মালাঊনদের প্রতি! এমনকি আক্রমণের সময় এমন হয়েছে যে, হুসাইন(রা) অনেককে চিনে চিনে বলেছিলেন- “তোমরাই না আমাকে পত্র লিখেছিলে!”
হুসাইন(রা) এর প্রতি বেঈমানির কারণে কারবালার প্রান্তরে তিনি শিয়াদের প্রতি বলেন-
" হে কুফাবাসী! তোমাদের মা সন্তানহারা হোক! তোমরাই তো এই নেক বান্দাকে ডেকে আনলে। এমনকি সে যখন তোমাদের কাছে তাশরীফ আনল তখন তোমরা তার কাছে আত্মসমর্পণ করলে আর এভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলে যে তাকে ছাড়া তোমরা বাঁচবে না। আর এখন তোমরা শেষ পর্যন্ত তাকে হত্যা করার জন্য তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে। তার প্রাণ ছিনিয়ে নিলে, আল্লাহ তায়ালার সুবিশাল ভূমিতে যাওয়া থেকে বাঁধা প্রদানের উদ্দেশ্যে তাকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ধরলে। পরিণতিতে সে তোমাদের নিকট বন্দির মতো পড়ে রইল, না সে নিজের কোন উপকার করতে পারছে আর না সে নিজের পক্ষ থেকে কোন প্রতিরোধ করতে পারছে। তোমরা তাকে, তার স্ত্রী সন্তান ও পরিবারবর্গকে ফুরাত নদীর পানি খেতে দিচ্ছ না, অথচ এই নদীর পানি ইহুদী খৃষ্টান,মুর্তীপূজারী নির্বিশেষে খেতে পারে, এমনকি সাওয়াদ গোত্রের শুকর আর কুকুরগুলোও এই পানিতে চুমুক দেয়। এই দেখ পিপাসা তাদেরকে কাতর করে তুলেছে। মুহাম্মাদ সা. এর মৃত্যুর পর তার বংশধরদের সঙ্গে কী খারাপ আচরণটাই না তোমরা করলে!! চরম পিপাসার দিন আল্লাহ তোমাদেরকে পানি পান না করাক।"
[ই’লাম আল ওয়ারি বি আমালিল হাদি,পৃষ্ঠা ২৪৭]
বাইবেলে যেরকম জালিয়াতি সত্ত্বেও খ্রিস্টান ও ইহুদিদের ভ্রষ্টতার প্রমাণ উঁকি মারে, তেমনি ইহুদিজাত শিয়া-কাফেরদের কিতাবেও তাদের প্রতি আহলে বাইতের অভিশাপের কথা লুকাতে পারেনি!
☣ কুফাবাসী-শিয়াদের প্রতি হুসাইন(রা) এর বোন যায়নাব(র) এর অভিশাপঃ- {শিয়া ধর্মের কিতাবের রেফারেন্স}
হুসাইন(রা) এর প্রতি এরকম জঘন্য বেঈমানিতে ক্ষুদ্ধ হয়ে আহলে বাইতের সদস্য আলী(রা) এর কন্যা যায়নাব(র) কুফাবাসীর প্রতি ভাষন রাখেন, শিয়াদের কিতাবে পাওয়া যায় -
“তোমরা আমাদের জন্য মাতম কর, তাহলে হত্যা করল কারা?!!
অতপর, হে কুফাবাসী(শিয়া), হে গাদ্দার ও প্রতিজ্ঞা-ভঙ্গকারী সম্প্রদায়, তোমাদের অশ্রু না মুছুক ও শেষ না হোক!তোমাদের দৃষ্টান্ত সেই মহিলার ন্যায় যে কষ্ট করে সূতা বুনে আবার নিজে তা খুলে ফেলে নিজের মেহনত বাতিল করে দেয়।(সূরা নাহলঃ৯২ আয়াতের উদাহরণ) । তোমাদের মিথ্যা অজুহাত ও ঔদ্ধত্য যা শত্রুর সামনে নরম হয়ে গেছে।
নিশ্চিত জেনে নাও, তোমার যে নিকৃষ্ট কাজ করেছ, তার জন্য আল্লাহ্ তোমাদের উপরে চরম অসন্তুষ্ট, আল্লাহ্র গযব তোমাদের উপরে খুব তাড়াতাড়ি আসন্ন।” [মুন্তাহা আল আমালি ,৫৭০ পৃষ্ঠা (১ম খণ্ড) ]
বেঈমানির কারণে আহলে বাইতের মুখে অভিশপ্ত শিয়া-মালাঊনরা আবার কাফের-মুশরিকদের মত মাতম-ড্রামা করে নিজেদের কলঙ্কিত ইতিহাস লুকাতে চায়!
☣ শিয়া-জাতির প্রতি হুসাইন(রা)এর সন্তান যাইনুল আবিদীন(র) এর অভিশাপঃ-
কারবালার প্রান্তরে হুসাইন(রা)কে চিঠি লিখে ডেকে এনে বেইমানী করা কুফাবাসী শিয়াদের প্রতি আলী বিন হুসাইন(যাইনুল আবিদীন র.) বলেন-
“ হে লোকেরা আল্লাহ্র অয়াস্তে বলি,তোমরা কি জান,তোমরা আমার বাবাকে লিখেছ(চিঠি) ও ধোঁকা দিয়েছ;তাঁকে প্রতিশ্রুতি ও বাইয়্যাত দিয়েছ,পরে তাঁকে পরিত্যাগ করে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছ!কিভাবে তোমরা রাসূলুল্লাহ(সা)এর দেখবে,যখন তিনি বলবেন-‘তোমরা আমার পরিবারকে হত্যা করেছ,আমার পবিত্রতাকে অপমান করেছ।সুতরাং তোমরা আমার থেকে(উম্মত) নও’”
“হায়!হায়!!হে গাদ্দার, কুচক্রীগণ!তোমাদের চালাকি ও কামনা তোমাদের মধ্যেই; তোমরা কি আশা কর,তোমাদের নিকট আমি আসব যেমন পূর্বে এসেছিলেন আমার পিতা?!” [আল ইহতিজায,পৃষ্ঠা ২৮(খণ্ড ২) ]
শিয়াদের জন্মদাতা ইহুদিরা যেমন তাদের নবীদের মুখে অভিশপ্ত। জাতিগতভাবে ইহুদিদের জারয সন্তান শিয়ারাও তেমনি আহলে বাইতের মুখে অভিশপ্ত! অথচ এই আহলে বাইতকে দেবদেবীর মত উপাসনা করে তারা মিথ্যা ভালবাসা দেখায়!
শিয়া ধর্ম সস্তা আবেগের ধর্ম, অনেক শিয়া যাজক বলে থাকে যে হুসাইনের রক্তে শিয়াদের পাপমোচন হয়েছে- খ্রিস্টানদের আকিদা। নাঊযুবিল্লাহ! কারবালাকে কেন্দ্র করে বিশাল বিশাল পারস্য রূপকথা প্রচার করা হয়ে আসছে শিয়া ধর্মে!
শিয়া ধর্মের একজন আয়াতুল্লাহ, আসিফ মুহসিনির ভাষায়-
‘কারবালা বিষয়ে ব্যাপকবিস্তৃত যেসব ঘটনা,কথাবার্তা প্রচার করা হয়,সেগুলা বেশিরভাগই মাজহুল(অজ্ঞাত)। কিন্তু মানুষ এমন কিছু চায় যাতে কান্না আসে, আর বক্তারাও মাল ও সম্মান কামাই করতে চায়। ’ [মাশরাআত বিহারুল আনওয়ার,পৃ ১৫৬,খণ্ড ২ ]
কারবালা নিয়ে আবেগঘন কিচ্ছা শুনিয়ে পাবলিকের থেকে খুমুস আদায় করে মালামাল শিয়া যাজক-পোপ(আয়াতুল্লা-মারাজি)রা। উদ্দেশ্য শুধু কারবালার ঘটনায় নিজেদের বেঈমানির ইতিহাস ঢাকা নয়। সাথে পাবলিকের থেকে অর্থ আদায়!!
-----------------
~ The Rafidologist: এসো শিয়া চিনি
আসুন, ইসলামের ইতিহাসের রেফারেন্সে সেই ঘটনা ও ফাঁকে ফাঁকে শিয়া ধর্মগ্রন্থ থেকে গাদ্দারির স্বীকারোক্তি, শিয়াদের প্রতি আহলে বাইতের অভিশাপ দেখে নেই।
সংক্ষিপ্ত পটভূমিঃ
৬০ হিজরির শেষভাগে মুয়াবিয়া(রা) এর মৃত্যু হয়, মৃত্যুর পূর্বে খিলাফতের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভেদ-বিবাদের আশংকায় মজলিসে শূরার উপরে খলিফা নিয়োগের ভার না ছেড়ে ইজতিহাদ করে পুত্র ইয়াযিদকে খলিফা নিয়োগ করে যান। এছাড়া অন্যান্য অঞ্ছলের তুলনায় দামেশকের অবস্থা সুসংহত ও ঐক্যবদ্ধ ছিল,ইয়াযিদ সমস্যায় পড়লে সাহাবা,তাবেয়ীরা সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত থাকবেন,এমন চিন্তায় মুয়াবিয়া(রা) ইয়াযিদকে খলিফা করে যান। খিলাফত পাবার পূর্বে অর্থাৎ মুয়াবিয়া(রা)এর জীবদ্দশায় ইয়াযিদ নেক আমল,বুদ্ধি-বিচক্ষণতা ইত্যাদি দেখিয়েছিল, তার খারাবি প্রকাশ পায় ক্ষমতা হাতে পাবার পরে। সে মাতলামি,সালাত বাদ দেয়া ইত্যাদি শুরু করে ও নিজের ক্ষমতায় অন্ধ হয়ে যায়।বিভিন্ন অঞ্চল এর গভর্নরগণ ইয়াযিদকে বাইয়্যাত দেন। ইয়াযিদ মদিনার গভর্নর ওয়ালিদ বিন উতবাকে চিঠি লিখে পাঠায় যে, আব্দুল্লাহ ইবন উমর(রা) ও আব্দুল্লাহ ইবন যুবায়র(রা)কে যেন কঠিন চাপ প্রয়োগে বাইয়্যাতে বাধ্য করা হয়। ইবন উমর(রা) ও ইবন আব্বাস(রা) তখন ছিলেন মক্কায়। মদিনায় অবস্থানকারী হুসাইন(রা) ও ইবন যুবায়র(রা)কে গভর্নর ওয়ালিদ ডেকে পাঠালে তাঁরা এরকম গোপনে বাইয়্যাত করতে অস্বীকৃতি জানান এবং বলেন যে, পরে যদি জনতার সমাবেশের সময় বিবেচনা করবেন। ওয়ালিদ ইবন উমর(রা)এর কাছে দূত পাঠালে তিনিও বলে দেন- সবাই বাইয়্যাত করলে পরে আমি করব।
বাইয়্যাতের কথা কাটিয়ে কাটিয়ে একসময় আব্দুল্লাহ ইবন যুবায়র(রা) চুপচাপ মক্কার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গেলেন।ইয়াযিদের লোকেরা ইবন যুবায়র(রা)এর পিছে লেগে থেকেই ব্যস্ত থাকল। ওদিকে কিছুদিন পরে হুসাইন(রা)ও পরিবার-পরিজন নিয়ে বেরিয়ে পরেন; তাঁর ভাই মুহাম্মদ ইবন হানাফিয়া(র) তাঁকে আল্লাহর কসম দিয়ে বলেন যে,হুসাইন(রা) যেন নিরাপদে কোন মরু/পর্বত এলাকায় থেকে বাইয়্যাতের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন আর কোন শহরে থাকতে হলে যেন কেবল মক্কায়ই থাকেন।
মক্কার উদ্দেশ্যে যাত্রাপথে হুসাইন(রা) ও আব্দুল্লাহ ইবন যুবায়র(রা) মিলিত হন। তাঁরা দুইজন আবার মক্কা থেকে মদিনার উদ্দেশ্যে যাত্রাকারী ইবন উমর(রা) ও ইবন আব্বাস(রা)এর সাক্ষাৎ লাভ করেন। উনারা হুসাইন(রা) ও ইবন যুবায়র(রা)কে বিভেদ সৃষ্টি না করার পরামর্শ দিলেন; মদিনায় এসে যখন দেখলেন সবাই বাইয়্যাত দিয়েছে তখন ইবন উমর(রা)ও ইবন আব্বাস(রা)ও পরিস্থিতির বিচারে ইয়াযিদের বাইয়্যাত দেন। ঐদিকে হুসাইন(রা) ও ইবন যুবায়র(রা) মক্কায় পৌঁছে গভর্নর সাইদ বিন আমরকে বলেন, আমরা কাবার আশ্রয়ে এসেছি। ইয়াযিদের গভর্নরদের কূটকৌশল,চাপ,বাহিনী প্রেরণ মূলত আব্দুল্লাহ ইবন যুবায়র(রা)এর বিরুদ্ধেই চলতে থাকে-যাকে তারা প্রধান বিদ্রোহী হিসেবে গণ্য করছিল।
মক্কায় পৌঁছার পরে হুসাইন(রা)এর কাছে খিলাফতের প্রস্তাব দিয়ে ইরাকের কুফা শহর থেকে শিয়াদের শত-হাজার চিঠি আসতে থাকে।
☣ হুসাইন(রা)এর সাথে শিয়াদের জাতিগত বেঈমানির স্বাক্ষরঃ
শিয়া দাবিকারীদের শত-সহস্র চিঠির প্রেক্ষিতে হুসাইন(রা) তাঁর পরিবার ও সাথীদের নিয়ে বের হন ইরাকের উদ্দেশ্যে।আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস(রা),মুহাম্মদ ইবন হানাফিয়া(র) সহ একাধিক সাহাবী ও আত্নীয় তাঁকে বুঝানোর চেষ্টা করেন যে এই ইরাকিরা,শিয়া দাবিকারীরা তাঁর পিতাকেও হত্যা করেছে। তাদের ডাকে যাওয়া মোটেই নিরাপদ না!কিন্তু হুসাইন(রা) শিয়াদের আহ্বানে সাড়া দেন ও তাদের দ্বারা প্রতারিত হন!হুসাইন(রা)কে চিঠি লিখে বাইয়্যাত দিয়ে ডেকে বেইমানি করা শিয়া দাবিকারীরা। এ ব্যাপারে শিয়া যাজক সাইয়্যেদ মুহসিন আল আমিন এর উল্লেখ-
“অতপর ইরাকবাসীদের থেকে ২০ হাজার লোক হুসাইন এর প্রতি বাইয়্যাত দিল(আনুগত্য করল)।এরপরে তারা বাইয়্যাত সত্ত্বেও তাঁর সাথে গাদ্দারি করল ও তাঁর বিরুদ্ধে বের হল(লড়তে) ও তাঁকে হত্যা করল।” [আ’ইয়ান আশ-শিয়া,পৃষ্ঠা ২৬(খণ্ড ১)]
শিয়ারা হুসাইন(রা)কে অনুরোধ করল যে, তারা হুসাইন(রা)কে বাইয়্যাতদেবার অপেক্ষায় আছে, তাদের কাছে যেন হুসাইন(রা)এর চাচাতো ভাই মুসলিম ইবন আকিল(র)কে পাঠানো হয়। হুসাইন(রা) তাঁর ভাই মুসলিম বিন আকিলকে কুফায় পাঠালেন এবং বললেন যে, সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি বাইয়্যাতের অনুকূল দেখলে যেন পত্র দেন, সেই পত্র দেখে হুসাইন(রা) সপরিবারে কুফায় রওয়ানা দিবেন।
কুফায় মুসলিম বিন আকিল পৌঁছলে হুসাইন(রা)কে জানমাল দিয়ে সাহায্য করবে এইমর্মে প্রায় ১৮ হাজারের বেশি শিয়া বাইয়্যাত করল। এই খবর কুফার গভর্নর নুমান বিন বশির(রা)এর কাছে পৌঁছলে তিনি লোকেদের উদ্দেশ্যে ফিতনা,বিশৃংখলা পরিহার করার উপদেশ দিয়ে গেলেন। নুমান(রা) নরমপন্থী বুঝে ইয়যিদ তার পরামর্শকের কথায় উবায়দুল্লাহ বিন যিয়াদকে নুমান(রা)এর স্থানে কুফার গভর্নর করে পাঠাল। উবায়দুল্লাহকে প্রতিরোধে মুসলিম বিন আকিলের পাশে প্রায় ৪-৫ হাজার শিয়াদের বাহিনী দাঁড়িয়ে যায়, কিন্তু গভর্নর উবায়দুল্লাহ প্রাসাদে পিছু হটে, অন্য আমিরদের দিয়ে শামের বাহিনীর ভয়ভীতি,অর্থলোভ ইত্যাদি দেখানে শিয়ারা একে একে মুসলিম বিন আকিলকে ছেড়ে চলে যায়। এভাবে দিন গড়িয়ে মাগরিবের সময়ে গিয়ে কেউই থাকল না, তিনি আশ্রয়ের আশায় এখানে-সেখান ঘুরতে ঘুরতে বন্দী হন এবং তাঁকে হত্যা করা হয়।
☣ আহলে বাইতের সাথে শিয়াদের গাদ্দারির স্বাক্ষর তাদের কিতাবেঃ-
কুফার উদ্দেশ্যে যাবার পথে এই খবর হুসাইন(রা) এর কাছে পৌঁছলে তিনি যা বলেন তা শিয়াদের কিতাব থেকে দেখি-হুসাইন তাবরিসি এর কিতাবে হুসাইন(রা)এর বক্তব্যে লেখাঃ
“ এরপরে আমার কাছে মুসলিম ইবনে আকীল,হানী বিন উরওয়া ও আবদুল্লাহ বিন ইয়াক্তার এর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নিশ্চিত খবর পৌঁছেছে, এবং নিশ্চিতভাবে আমাদের শিয়ারাই(দল) আমাদের সাথে বেঈমানি করল..” [আ’লাম আল অয়ারি বিআ’লাম আলহাদি, ২৩৭ পৃষ্ঠা]
এর আগে ইবনে আব্বাস(রা),ইবন উমর(রা) ও ইবন যুবায়র(রা)-তাঁরা হুসাইন(রা)কে কুফার উদ্দেশ্যে রওয়ানা থেকে নানাভাবে বিরত রাখতে চেয়েছেন, শিয়ারা হুসাইন(রা) এর পিতাকে হত্যা করেছে,ভাই হাসান(রা)কে অপবাদ দিয়েছে,ইরাকিরা প্রতারক স্বভাবের এসব স্মরণ করিয়ে দেন, তা সত্ত্বেও ইরাক থেকে আসা শিয়াদের ওয়াদাপূর্ণ চিঠি দেখে তিনি কুফার দিকে যাত্রা করেন। অনেকটা শাহাদাত নিশ্চিত জেনেই তিনি যাত্রা অব্যাহত রাখেন। যারুদ নামক স্থানে পৌঁছে কুফায় তাঁর প্রেরির দূতের হত্যার খবর পৌঁছার পরে মর্মাহত হন,এরপরেও তিনি তাকদিরের ফয়সালার দিকে ধাবিত হন। তাঁর তাবুতে এক ব্যক্তি ক্রন্দনরত অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করতে দেখলে তিনি শিয়াদের চিঠিপত্র দেখিয়ে বলেন- “এগুলা আমার কাছে প্রেরিত কুফাবাসীর পত্র,কিন্তু আমার ধারণা তারাই আমার ঘাতক হবে” বাস্তবে হয়েছিলও তাই।
☣ হুসাইন(রা) এর সরাসরি হত্যার দায় স্বীকার শিয়া-ইতিহাস গ্রন্থেঃ
হুসাইন(রা) কে হাজার হাজার চিঠি লিখে কুফায় ডেকে এনে তারপরে দুশমনের হাতে ছেড়ে নিজেদের জান-মাল বাচিয়ে সরে যাওয়া,হত্যায় অংশ নেয়া শিয়ারাই হুসাইন(রা) এর প্রকৃত হত্যাকারী । শিয়া ধর্মযাজক মুরতাযা মুতাহারী এর কিতাবে লেখা স্বীকারোক্তি-“আবু সুফিয়ানের দল শুরু থেকে কীভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করল? এরপরে মুসলমানদের কি হল! বরং হুসাইন(আ)এর দলই(শিয়ারা) অতপর তাঁকে হত্যা করল” [মালহামাত আল হুসাইনিয়্যাত পৃষ্ঠা ৬, খণ্ড ৩]
ইতিহাসের জঘন্যতম প্রতারণাকারী শিয়ারা আশুরার দিনে মাতম করে নিজেরাই নিজেদের লাঞ্ছিত করে। আল্লাহ্ এই কাফেরদের ধবংস করুন!
ইয়াযিদের গভর্নর উবায়দুল্লাহ ইবন যিয়াদ এর বাহিনীও কারবালার প্রান্তরে পৌঁছে যায় এবং উবায়দুল্লাহ ইবন যিয়াদের নির্দেশমত চূড়ান্ত কঠোরতা অবলম্বন করে, হুসাইন(রা)এর কে কোনপ্রকার আপোষ-মতবিনিময়ের সুযোগ না দিয়ে ইবনে যিয়াদের কাছে নতি স্বীকার করিয়ে বন্দি করতে চায়। হুসাইন(রা)ও নতি স্বীকার না করে যুদ্ধ চালিয়ে যান এবং শাহাদাত বরণ করেন। তাঁর সঙ্গী বেশিরভাগ সদস্যই শহীদ হন এবং বাকিদেরকে বন্দী করে ইয়াযিদের রক্ষণাবেক্ষণে পাঠানো হয়। ইয়াযিদ হুসাইন(রা)কে হত্যা করায় ইবনে যিয়াদের উপরে ক্ষুদ্ধ হয় এবং আফসোস করলেও সে ইবনে যিয়াদের বিরুদ্ধে কোণ প্রকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থাই নেয়নি! বরং সে নিজের শাসনক্ষমতা রক্ষায় যেকোন কিছু বৈধ এরূপ ধারণা রাখত। আমরা মুসলমানরা ইয়াযিদকে ঘৃণার চোখে দেখি , তবে কাফির বলা বা অভিশাপ দেয়া এড়িয়ে চলি। ইয়াযিদের কন্সটানটিনোপল বিজয়ের মাগফিরাতপ্রাপ্ত বাহিনীতে থাকার ব্যাপারে বলে থাকেন যে,ইয়াযিদ ক্ষমা পেতে পারে, যদিও সেটী চরম বিতর্কিত। আল্লাহ্ ভাল জানেন। এই ঘটনার অল্পদিনের মধ্যেই বানরের কামড়ে জালিম ইয়াযিদের মৃত্যু হয়।
☣ হুসাইন(রা) এর হত্যাকারী শিম্মার একজন শিয়া ছিলঃ
মুসলিমদের কিতাব(আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ইত্যাদি) থেকে আমরা জানি যে, হুসাইন(রা) কে কুফার “শিয়া” দাবিকারী দলের লোকেরা ডেকে এনে পড়ে নিজেদের জানের ভয়ে পালিয়ে যায়,কেউ কেউ টাকার লোভে গভর্নর উবায়দুল্লাহ্ বিন যিয়াদ এর বাহিনীতে যোগ দেয়। এখন আমরা শিয়াদের কিতাবে দেখি-বিখ্যাত শিয়া-ধর্মযাজক আব্বাস কুম্মি এর লেখা সাফিনাতুল বিহার গ্রন্থের ৪৯২ পৃষ্ঠায়(৪থ খণ্ড) লেখা- “শিম্মার ইবনে যুলজওশান(লা.আ.) সিফফিন যুদ্ধে আলী(রা) এর বাহিনীতে ছিল”
অর্থাৎ নিজেকে আলীর দল(শিয়া) দাবিকারী বাহিনীর একজন পরবর্তীতে হুসাইন(রা) কে হত্যা করে, যেমনটা হয়েছিল কুফাবাসী আরো বহু শিয়ার ক্ষেত্রে, শিম্মার এক উদাহরণমাত্র! লাখো লা’নত শিম্মার ও শিয়া-মালাঊনদের প্রতি! এমনকি আক্রমণের সময় এমন হয়েছে যে, হুসাইন(রা) অনেককে চিনে চিনে বলেছিলেন- “তোমরাই না আমাকে পত্র লিখেছিলে!”
☣ শিয়াদের প্রতি হুসাইন(রা) এর অভিশাপঃ {শিয়া ধর্মের কিতাবের রেফারেন্স}
শিয়া-দাবিদাররা হুসাইন(রা)কে বাইয়্যাত নেবার জন্য কুফা শহরের দিকে ডেকে হাজার হাজার চিঠি লিখে,কিন্তু তিনি এসে পৌঁছাতে পৌঁছাতে তারা গাদ্দারি করে দল ত্যাগ করে ও বরং হুসাইন(রা)এর হত্যাকারী বাহিনীতে যোগ দেয়!হুসাইন(রা) এর প্রতি বেঈমানির কারণে কারবালার প্রান্তরে তিনি শিয়াদের প্রতি বলেন-
" হে কুফাবাসী! তোমাদের মা সন্তানহারা হোক! তোমরাই তো এই নেক বান্দাকে ডেকে আনলে। এমনকি সে যখন তোমাদের কাছে তাশরীফ আনল তখন তোমরা তার কাছে আত্মসমর্পণ করলে আর এভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলে যে তাকে ছাড়া তোমরা বাঁচবে না। আর এখন তোমরা শেষ পর্যন্ত তাকে হত্যা করার জন্য তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে। তার প্রাণ ছিনিয়ে নিলে, আল্লাহ তায়ালার সুবিশাল ভূমিতে যাওয়া থেকে বাঁধা প্রদানের উদ্দেশ্যে তাকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ধরলে। পরিণতিতে সে তোমাদের নিকট বন্দির মতো পড়ে রইল, না সে নিজের কোন উপকার করতে পারছে আর না সে নিজের পক্ষ থেকে কোন প্রতিরোধ করতে পারছে। তোমরা তাকে, তার স্ত্রী সন্তান ও পরিবারবর্গকে ফুরাত নদীর পানি খেতে দিচ্ছ না, অথচ এই নদীর পানি ইহুদী খৃষ্টান,মুর্তীপূজারী নির্বিশেষে খেতে পারে, এমনকি সাওয়াদ গোত্রের শুকর আর কুকুরগুলোও এই পানিতে চুমুক দেয়। এই দেখ পিপাসা তাদেরকে কাতর করে তুলেছে। মুহাম্মাদ সা. এর মৃত্যুর পর তার বংশধরদের সঙ্গে কী খারাপ আচরণটাই না তোমরা করলে!! চরম পিপাসার দিন আল্লাহ তোমাদেরকে পানি পান না করাক।"
[ই’লাম আল ওয়ারি বি আমালিল হাদি,পৃষ্ঠা ২৪৭]
বাইবেলে যেরকম জালিয়াতি সত্ত্বেও খ্রিস্টান ও ইহুদিদের ভ্রষ্টতার প্রমাণ উঁকি মারে, তেমনি ইহুদিজাত শিয়া-কাফেরদের কিতাবেও তাদের প্রতি আহলে বাইতের অভিশাপের কথা লুকাতে পারেনি!
☣ কুফাবাসী-শিয়াদের প্রতি হুসাইন(রা) এর বোন যায়নাব(র) এর অভিশাপঃ- {শিয়া ধর্মের কিতাবের রেফারেন্স}
হুসাইন(রা) এর প্রতি এরকম জঘন্য বেঈমানিতে ক্ষুদ্ধ হয়ে আহলে বাইতের সদস্য আলী(রা) এর কন্যা যায়নাব(র) কুফাবাসীর প্রতি ভাষন রাখেন, শিয়াদের কিতাবে পাওয়া যায় -
“তোমরা আমাদের জন্য মাতম কর, তাহলে হত্যা করল কারা?!!
অতপর, হে কুফাবাসী(শিয়া), হে গাদ্দার ও প্রতিজ্ঞা-ভঙ্গকারী সম্প্রদায়, তোমাদের অশ্রু না মুছুক ও শেষ না হোক!তোমাদের দৃষ্টান্ত সেই মহিলার ন্যায় যে কষ্ট করে সূতা বুনে আবার নিজে তা খুলে ফেলে নিজের মেহনত বাতিল করে দেয়।(সূরা নাহলঃ৯২ আয়াতের উদাহরণ) । তোমাদের মিথ্যা অজুহাত ও ঔদ্ধত্য যা শত্রুর সামনে নরম হয়ে গেছে।
নিশ্চিত জেনে নাও, তোমার যে নিকৃষ্ট কাজ করেছ, তার জন্য আল্লাহ্ তোমাদের উপরে চরম অসন্তুষ্ট, আল্লাহ্র গযব তোমাদের উপরে খুব তাড়াতাড়ি আসন্ন।” [মুন্তাহা আল আমালি ,৫৭০ পৃষ্ঠা (১ম খণ্ড) ]
বেঈমানির কারণে আহলে বাইতের মুখে অভিশপ্ত শিয়া-মালাঊনরা আবার কাফের-মুশরিকদের মত মাতম-ড্রামা করে নিজেদের কলঙ্কিত ইতিহাস লুকাতে চায়!
☣ শিয়া-জাতির প্রতি হুসাইন(রা)এর সন্তান যাইনুল আবিদীন(র) এর অভিশাপঃ-
কারবালার প্রান্তরে হুসাইন(রা)কে চিঠি লিখে ডেকে এনে বেইমানী করা কুফাবাসী শিয়াদের প্রতি আলী বিন হুসাইন(যাইনুল আবিদীন র.) বলেন-
“ হে লোকেরা আল্লাহ্র অয়াস্তে বলি,তোমরা কি জান,তোমরা আমার বাবাকে লিখেছ(চিঠি) ও ধোঁকা দিয়েছ;তাঁকে প্রতিশ্রুতি ও বাইয়্যাত দিয়েছ,পরে তাঁকে পরিত্যাগ করে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছ!কিভাবে তোমরা রাসূলুল্লাহ(সা)এর দেখবে,যখন তিনি বলবেন-‘তোমরা আমার পরিবারকে হত্যা করেছ,আমার পবিত্রতাকে অপমান করেছ।সুতরাং তোমরা আমার থেকে(উম্মত) নও’”
“হায়!হায়!!হে গাদ্দার, কুচক্রীগণ!তোমাদের চালাকি ও কামনা তোমাদের মধ্যেই; তোমরা কি আশা কর,তোমাদের নিকট আমি আসব যেমন পূর্বে এসেছিলেন আমার পিতা?!” [আল ইহতিজায,পৃষ্ঠা ২৮(খণ্ড ২) ]
শিয়াদের জন্মদাতা ইহুদিরা যেমন তাদের নবীদের মুখে অভিশপ্ত। জাতিগতভাবে ইহুদিদের জারয সন্তান শিয়ারাও তেমনি আহলে বাইতের মুখে অভিশপ্ত! অথচ এই আহলে বাইতকে দেবদেবীর মত উপাসনা করে তারা মিথ্যা ভালবাসা দেখায়!
☣ মিথ্যা গল্পে আবেগে কাঁদিয়ে শিয়াদের মাল লুটে শিয়া ধর্ম-যাজকরাঃ
আয়াতুল্লাহর বইতে তথ্য ফাঁসঃ-শিয়া ধর্ম সস্তা আবেগের ধর্ম, অনেক শিয়া যাজক বলে থাকে যে হুসাইনের রক্তে শিয়াদের পাপমোচন হয়েছে- খ্রিস্টানদের আকিদা। নাঊযুবিল্লাহ! কারবালাকে কেন্দ্র করে বিশাল বিশাল পারস্য রূপকথা প্রচার করা হয়ে আসছে শিয়া ধর্মে!
শিয়া ধর্মের একজন আয়াতুল্লাহ, আসিফ মুহসিনির ভাষায়-
‘কারবালা বিষয়ে ব্যাপকবিস্তৃত যেসব ঘটনা,কথাবার্তা প্রচার করা হয়,সেগুলা বেশিরভাগই মাজহুল(অজ্ঞাত)। কিন্তু মানুষ এমন কিছু চায় যাতে কান্না আসে, আর বক্তারাও মাল ও সম্মান কামাই করতে চায়। ’ [মাশরাআত বিহারুল আনওয়ার,পৃ ১৫৬,খণ্ড ২ ]
কারবালা নিয়ে আবেগঘন কিচ্ছা শুনিয়ে পাবলিকের থেকে খুমুস আদায় করে মালামাল শিয়া যাজক-পোপ(আয়াতুল্লা-মারাজি)রা। উদ্দেশ্য শুধু কারবালার ঘটনায় নিজেদের বেঈমানির ইতিহাস ঢাকা নয়। সাথে পাবলিকের থেকে অর্থ আদায়!!
-----------------
~ The Rafidologist: এসো শিয়া চিনি